ভয়েস অফ গোপালগঞ্জ ডেস্ক,
গোপালগঞ্জের চন্দ্রদিঘলিয়া পলিটেকনিক কলেজের এক শিক্ষার্থীর ধর্ম অবমাননাকর ঘটনার পর করণীয় নির্ধারণে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) গওহরডাঙ্গা মাদরাসায় আয়োজিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন গওহরডাঙ্গা মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম মুফতি উসামা আমিন।
বৈঠকে গওহরডাঙ্গা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল্লাহ, সহসভাপতি মাওলানা নুরুল হক, শায়খুল হাদিস মাওলানা আব্দুস সালাম, নাজেমে তা'লীমাত মুফতি নুরুল ইসলাম, বোর্ডের দফতর সম্পাদক মাওলানা রেজাউল হকসহ জেলার বিভিন্ন মাদরাসার মুহতামিম ও শীর্ষ আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ম, আল্লাহ, রাসুল (সা.), ইসলাম ও শরিয়তের বিষয়ে অবমাননাকর মন্তব্যে মুসলমানদের হৃদয় বিদীর্ণ হচ্ছে। এসব ঘটনার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া জানাতে আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামী ২২ অক্টোবর ২০২৫ (বুধবার) গওহরডাঙ্গা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বাবধানে গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
পরে গওহরডাঙ্গা শিক্ষা বোর্ডের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে প্রতিনিধি দল ধর্ম অবমাননার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি জানায়।
জেলা প্রশাসক প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করে বলেন,
“অপরাধীকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে কঠোর ধারায় মামলা হয়েছে। আমরা অনুরোধ করেছি যেন সে কোনোভাবেই জামিন না পায়। পাশাপাশি কলেজ কর্তৃপক্ষ তার ছাত্রত্ব বাতিল করেছে। প্রশাসন ধর্মীয় বিষয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল ও কঠোর অবস্থানে রয়েছে।”
তিনি আলেম সমাজকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে সকলের প্রতি শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ জানান।
প্রশাসনের আশ্বাসে আলেম সমাজ আপাতত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ স্থগিতের ঘোষণা দেন। গওহরডাঙ্গা শিক্ষা বোর্ডের মুরব্বিরা জানিয়েছেন,
“প্রশাসনের পদক্ষেপ সন্তোষজনক হলে আমরা অপেক্ষা করব; অন্যথায় প্রয়োজনীয় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, ইনশাআল্লাহ।”