ভয়েস অফ গোপালগঞ্জ ডেস্ক,
ঢাকা–গোপালগঞ্জ এবং গোপালগঞ্জ–ঢাকা সরাসরি রেল যোগাযোগের দাবিটি বহু দিনের। দীর্ঘদিন ধরে সড়কপথের ভোগান্তি, যানজট এবং ঢাকা–খুলনা মহাসড়কে ঘনঘন দুর্ঘটনার কারণে গোপালগঞ্জবাসী নিরাপদ ও সাশ্রয়ী বিকল্প হিসেবে রেল যোগাযোগের দাবি জানিয়ে আসছেন।
গোপালগঞ্জের জনগণের দাবি, সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু হলে শুধু গোপালগঞ্জ নয়, নড়াইল, বাগেরহাট ও পিরোজপুর জেলার কয়েকটি উপজেলার মানুষও এই রুটের সুবিধা পাবে।
বর্তমানে গোপালগঞ্জের সঙ্গে রেল যোগাযোগের সব অবকাঠামোই প্রস্তুত রয়েছে। এখান থেকেই প্রতিদিন রাজশাহীগামী ট্রেন চলাচল করে। এছাড়া খুলনা থেকে ঢাকামুখী আরও চারটি ট্রেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর হয়ে যাতায়াত করে। কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া থেকেও একটি ট্রেন রাজবাড়ি পর্যন্ত যায়।
তবুও গোপালগঞ্জ জেলার বেশ কিছু উপজেলা এখনো রেলসেবার বাইরে রয়েছে।
গোপালগঞ্জে রয়েছে একটি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, চক্ষু ইনস্টিটিউট, টেক্সটাইল কলেজ, সরকারি ওষুধ কোম্পানি এবং নানা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনই ঢাকায় যাতায়াত করতে হয় সড়কপথে, যা ঝুঁকিপূর্ণ ও সময়সাপেক্ষ। তাদের মতে, নিরাপদ ও আরামদায়ক যাত্রার জন্য রেলপথই হতে পারে একমাত্র কার্যকর সমাধান।
গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী জংশনের স্টেশন ম্যানেজার অনিক বিশ্বাস জানান,
“গোপালগঞ্জ–রাজশাহী রেলপথের মতো ঢাকা–গোপালগঞ্জ রুটও লাভজনক হতে পারে। আমরা বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করব।”
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন,
“সরাসরি গোপালগঞ্জ–ঢাকা রুটে ট্রেন চালুর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ইতোমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।”
গোপালগঞ্জবাসীর এখন একটাই প্রত্যাশা— দ্রুত যেন ঢাকা–গোপালগঞ্জ রুটে সরাসরি ট্রেন চালু হয়। লাভজনক এই রুটে অন্তত একটি জোড়া ট্রেন চালুর অনুমোদন পেলে তাদের বহুদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।