ভয়েস অফ গোপালগঞ্জ ডেস্ক,
গোপালগঞ্জে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আধুনিক ট্রমা সেন্টারটি দীর্ঘদিন ধরে অচল পড়ে আছে। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের তাৎক্ষণিক জরুরি সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নির্মিত এই কেন্দ্রটি এখন কার্যত একটি সাধারণ কমিউনিটি ক্লিনিকের মতো পরিচালিত হচ্ছে। এখানে বর্তমানে দেওয়া হচ্ছে শুধু জ্বর, সর্দি ও কাশির মতো সাধারণ রোগের চিকিৎসা।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাটিয়াপাড়া এলাকায় নির্মিত এই ট্রমা সেন্টারের জন্য জমি অধিগ্রহণ, ভবন নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি কেনাসহ মোট ব্যয় হয়েছিল প্রায় ১২ কোটি টাকা। মহাসড়কে ঘন ঘন দুর্ঘটনায় আহতদের জীবনরক্ষা নিশ্চিত করাই ছিল এর মূল উদ্দেশ্য।
২০২০ সালে ট্রমা সেন্টারটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু করা সম্ভব হয়নি। জনবল সংকটই এর প্রধান কারণ বলে জানা গেছে। বর্তমানে সেখানে কর্মরত আছেন মাত্র দুইজন নার্স ও একজন সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। অথচ এখানে সার্জারি ও ট্রমা চিকিৎসায় দক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ বরাদ্দ থাকলেও এখনও কেউ যোগদান করেননি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর অব্যবহৃত পড়ে থাকায় ভবনের বিভিন্ন অংশ নষ্ট হতে শুরু করেছে। কিছু দামী চিকিৎসা সরঞ্জাম চুরি হয়ে গেছে বলেও শোনা যাচ্ছে। অপারেশন থিয়েটারসহ জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো অবহেলায় অকার্যকর হয়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মো. ফারুক বলেন,
“জনবল সংকট না মেটানো পর্যন্ত ট্রমা সেন্টারটি পুরোপুরি চালু করা সম্ভব নয়। প্রয়োজনীয় জনবল পেলে দ্রুতই সেন্টারটি কার্যকর করা হবে।”
স্থানীয়দের দাবি, ট্রমা সেন্টারটি দ্রুত চালু হলে মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহতরা তাৎক্ষণিক সেবা পেয়ে বাঁচার সুযোগ পেতেন। শুধু তাই নয়, আশপাশের সাধারণ মানুষও দ্রুত উন্নত চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারতেন।
তাই গোপালগঞ্জবাসী দ্রুত ট্রমা সেন্টারটি চালুর জোর দাবি জানিয়েছেন।